, সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফরিদপুরে মনোনয়ন দ্বন্দ্ব: বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০ চরভদ্রাসনের সেই অসুস্থ ইব্রাহীমের পাশে দাড়ালো কিশোর আলো যুব সংগঠ চরভদ্রাসনে প্রতিবন্ধী অটোচালক ইব্রাহীমের জীবনে অন্ধকার — সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা প্রার্থনা শহিদুল ইসলাম বাবুলের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল। মধুপুর প্রেসক্লাবের নবগঠিত নেত্রীবৃন্দের সাথে ইউএনও এর মতবিনিময় চরভদ্রাসনে জন্মাষ্টমীতে সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন স্পেন বিএনপি নেতা ইউনুস প্রামানিক চরভদ্রাসনে যুবলীগ নেতা দিপু খালাসী ১দিনের রিমান্ডে ভরা মৌসুমেও ইলিশশূন্য সদরপুরের পদ্মা নদীতে, বাজারে দাম আকাশছোঁয়া বন্দর ও করিডোর নিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছে: ড. ইউনূস খুনিরা মহাসুখে, খাচ্ছে, ঘুরছে, সেলফি তুলছে!

ফরিদপুরে মনোনয়ন দ্বন্দ্ব: বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

 

 

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বিএনপির কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়।

শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বাগাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নাসির ও সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকরা।

যেভাবে শুরু হলো সংঘর্ষ

জানা যায়, সামসুদ্দিন ঝুনুর সমর্থকরা সম্মেলনস্থলে যোগ দেওয়ার আগে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের মুক্তির দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা সম্মেলনস্থলে পৌঁছালে বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আকবার আলী শেখের নেতৃত্বে বক্তব্য দিচ্ছিলো ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম। সে তখন মাইকে বলে ওঠে, “বহিষ্কৃত কেউ এই সম্মেলনে যেনো না আসে।” এই মন্তব্যের পরই হট্টগোল শুরু হয় এবং এক পক্ষ অপর পক্ষের দিকে চেয়ার ছুঁড়ে মারে। এতে দুই পক্ষের ১০ জনের মতো কর্মী-সমর্থক আহত হন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন আকবার আলী শেখ, মো: খায়রুল শেখ, ইদ্রিস আলী শেখ, সোহাগ শেখ, সেকেন শেখ, আসিব, ফরিদুল ইসলাম ও চুন্নু।

নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

সংঘর্ষের পর ঝুনু সমর্থকরা হামলার প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে সম্মেলনের বাকি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়, তবে কোনো কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।

সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য গোলাম রব্বানী পুলিন বলেন, মিছিলে যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা মিজানসহ কয়েকজন ছিলেন, তাদের উদ্দেশ্যেই ছাত্রদল নেতা ওই মন্তব্য করেছিলেন।

মধুখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম আবুল বলেন, “যারা বিগত দিনে ঈগল মার্কায় নির্বাচন করেছে এবং নৌকার পক্ষে কাজ করেছে, তারা এই কমিটিতে স্থান পাবে না।”

হামলার শিকার কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা খাইরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের মিছিলে কোনো বহিষ্কৃত নেতা ছিলেন না। ক্যাডার খোকন ও তার লোকজন অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করে।”

জনপ্রিয়

ফরিদপুরে মনোনয়ন দ্বন্দ্ব: বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

ফরিদপুরে মনোনয়ন দ্বন্দ্ব: বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রকাশের সময় : ০৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫

 

 

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বিএনপির কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়।

শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বাগাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নাসির ও সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকরা।

যেভাবে শুরু হলো সংঘর্ষ

জানা যায়, সামসুদ্দিন ঝুনুর সমর্থকরা সম্মেলনস্থলে যোগ দেওয়ার আগে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের মুক্তির দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা সম্মেলনস্থলে পৌঁছালে বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আকবার আলী শেখের নেতৃত্বে বক্তব্য দিচ্ছিলো ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম। সে তখন মাইকে বলে ওঠে, “বহিষ্কৃত কেউ এই সম্মেলনে যেনো না আসে।” এই মন্তব্যের পরই হট্টগোল শুরু হয় এবং এক পক্ষ অপর পক্ষের দিকে চেয়ার ছুঁড়ে মারে। এতে দুই পক্ষের ১০ জনের মতো কর্মী-সমর্থক আহত হন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন আকবার আলী শেখ, মো: খায়রুল শেখ, ইদ্রিস আলী শেখ, সোহাগ শেখ, সেকেন শেখ, আসিব, ফরিদুল ইসলাম ও চুন্নু।

নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

সংঘর্ষের পর ঝুনু সমর্থকরা হামলার প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে সম্মেলনের বাকি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়, তবে কোনো কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।

সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য গোলাম রব্বানী পুলিন বলেন, মিছিলে যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা মিজানসহ কয়েকজন ছিলেন, তাদের উদ্দেশ্যেই ছাত্রদল নেতা ওই মন্তব্য করেছিলেন।

মধুখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম আবুল বলেন, “যারা বিগত দিনে ঈগল মার্কায় নির্বাচন করেছে এবং নৌকার পক্ষে কাজ করেছে, তারা এই কমিটিতে স্থান পাবে না।”

হামলার শিকার কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা খাইরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের মিছিলে কোনো বহিষ্কৃত নেতা ছিলেন না। ক্যাডার খোকন ও তার লোকজন অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করে।”